লন্ডনের লুৎফর ইসলামিস্ট বিষয়ক দৈনিক বিনোদন:

গতকাল লুৎফর রহমান তার ছাত্রশিবির সমর্থিত সভায় চাঁদা তোলার আবেদন করেছে। ইলেকটোরাল আদালতের রায়ে লন্ডনের টাওয়া হ্যামলেটস নামক বাঙালী বস্তির মেয়র পদচ্যুত লুৎফর টাকা পয়সার নয় ছয় জাতীয় বিবিধ অপকর্মে দোষী প্রমাণিত। তার পেছনে সউদি অর্থ যে পরিমান ঢালা হয়েছে তা কল্পনাতীত।

তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়ার পেছনে যে দশ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, তার এক চতুর্থাংশ তার ঘাড়ে যায়, ব্রিটেনের আইন মোতাবেক সে অর্থ পরিশোধ না করে, আপিলের সুযোগ না থাকা সত্বেও জুডিশিয়াল রিভিউ’র জন্য পয়সা চাইছে।

এই ঢং করার পেছনে দু’টি কারন আছে।

প্রথমতঃ সে এবং শিবিরের পোলাপান টের পেয়ে গেছে, তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। কাজেই কোন দুর্গন্ধযুক্ত উৎস থেকে অর্থ আসার নমুনা দেখা গেলে চারপাশে ঘুড়ে বেড়ানো সেকুলার শক্তিগুলি তাকে চেপে ধরবে। এবার হয়তো জেলে যেতে হতে পারে।

দ্বীতিয়তঃ পাবলিকের করুণা কুড়ানো। সে টাকা চেয়ে বলতে চাইছে, আমি গরীব মানুষ, টাকা পয়সা লিল্লাহ পাই না সউদি / কাতার থেকে, কাজেই আমাকে দুইটা পয়সা দেন গো। কিন্তু আমরা ভালো করে জানি, এই টাকা চাওয়ার নাটকের পরে, ছোট ছোট থোকে বিবিধ হাত ঘুরে যে পয়সা আসবে, তা কিন্তু ওই একই ইসলামিজম প্রচার ফান্ড থেকেই আসবে।

এদিকে সোনার পাউন্ড পাড়া হাঁস, মানে টাওয়ার হ্যামলেটস্‌ এর ট্রেজারীর চাবি লুৎফরের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায়, বেশ বিপদে পড়েছে লুৎফর এবং IFE (পড়ুন শিবির)। জনগনের টাকা ভেঙ্গে ইসলামিজম (পড়ুন মউদুদীজম) ছড়ানোর সাইড বিজনেস ভালোই ধরা খেয়ে যাওয়ায় এখন টাকার জন্য এদিক সেদিক তাকাতে হবে এনাদের। বিলেতী ছাগু ব্যাবসায়ীরা টাকা পয়সা হয়তো দিয়ে কিছুদিন ভাসিয়ে রাখবে, কিন্তু সেকুলার হাঙরেরা যেভাবে চারপাশে ঘুরছে, ইসলামের অবস্থা বেশি ভালো না ইংল্যান্ডে।

আরেকটি বিনোদন: বাম যখন ভাম হয়:
এদিকে ব্রিটেনের একটি ট্রেড ইউনিয়নের বুড়ো নেতা কেন মেক্লাসকি গতকালকের চাঁদাবাজি সভায় এসে সমর্থন দিয়ে গেছে লুৎফারকে। ব্রিটেনের ভাম (মানে বাংলাদেশের ভ্রান্ত বাম বলে যাদের আমরা চিনি, সব বাম নয়) গোষ্ঠীর সংখ্যা কিন্তু কম নয়। মূলতঃ ব্রিটেনে (এবং ইউরোপে) ইসলামের নামে জঙ্গীবাদের বিপুল বর্ধনে এই ভামগোষ্ঠী ছিটগ্রস্থ কিছু যুক্তির আলোকে সউদি/কাতারীদের হয়ে সেকুলার শক্তির হাত থেকে মউদুদীবাদকে ইউরোপে রক্ষা করে।

আমরা ভাবতাম, বাংলাদেশেই বুঝি এমনটা ঘটছে। কিন্তু বাস্তব হলো ভারতেও মমতা জামাতীদের সহায়তা নিয়েই পশ্চিম বঙ্গ থেকে বাঙালীত্বের নাম গন্ধ মুছে ফেলছে। বাংলাদেশে আওয়ামীবিনপিজামাতলীগের মাধ্যমে বিপুল বেগে ঘটছে ইসলামী পোড়ামাটি কার্যক্রম, ইউরোপেও যেখানেই বাঙালী, সেখানেই ইসলাম গিয়ে হয়তো আগামী বিশ বছরের মাঝে পৃথিবীর মুখ থেকে বাঙালী সংস্কৃতি ও ভাষা মুছে যাবে।

ভামগোষ্ঠী কি ভুল থেকে ইসলামের সহায়তা করছে, তাদের একটু জিজ্ঞাসা করা দরকার। আমি কোন সৎ উত্তর পাই নি। প্রসঙ্গ উঠলেই তারা বর্নবাদ, আমেরিকার ইরাকে আগ্রাসন, ইজ্রাইল হামাস ইত্যাদি ইতং বিতং বকতে থাকে, কিন্তু বিশ্বজুড়ে ভামদের এই পতনের মূল কোথায় আমরা এখনো জানি না। ইউরোপে ইসলামকে একটা বর্ন হিসেবে জাহির করে, ইসলামের অপকর্মের প্রতিবাদ কে সাধারন মুসলমান নাগরিকদের ওপর জুলুম হিসেবে প্রচার করে যে ঘোলাটে পানি তৈরি করে ভামগোষ্ঠী, সেই পানিতে তারা পুঁজিবাদের মাছ শিকার করতে গিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা, ইহজাগতিকতা, মানবতাকেই হত্যা করতে থাকে। স্বয়ং মার্কসও এই কাহিনী দেখলে রাগে দুঃখে বনবাসে চলে যেতো।

আরিফুর রহামন
লন্ডন, ১লা মে, ২০১৫

এছাড়াও ফেসবুকে প্রকাশিত:  https://www.facebook.com/ArifUK/posts/10152780770464071